Al Shafiq Academy

Home / Bangla Thriller / অন্ধকার মোড়ে মিয়া শাহ

অন্ধকার মোড়ে মিয়া শাহ

১. শুরুটা ছিলো নিরব
মিয়া শাহ—নামটা যতটা সাদামাটা, তার জীবন ততটাই জটিল। ঢাকার এক নিরিবিলি এলাকায় ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে একা থাকেন তিনি। দিনের বেলায় একজন সাধারণ গ্রাফিক ডিজাইনার, আর রাতের বেলায়? কেউ জানে না।


একদিন গভীর রাতে তার দরজায় কড়া নাড়ে এক অচেনা মানুষ। কালো কোট, মুখ ঢেকে রাখা। শুধু বলে,“আপনার অতীত খুঁজে ফিরছে আপনাকে, মিয়া শাহ।”


২. পুরনো কাগজ, নতুন রহস্য
সেই রাতেই মিয়া পায় একটি প্রাচীন কাগজ—হাতে লেখা, আর এক কোণে ছোট্ট এক লালচে দাগ। কাগজে লেখা:
“কোড ৭১: ফিরে যাও সেই রাতটিতে। ভুলে যাওয়া মানেই নয় ক্ষমা পাওয়া।”


মিয়া বুঝতে পারে, তার অতীত যেটা সে চাপা দিয়ে রেখেছিলো, সেটা আবার মাথা তুলেছে। সে জানে, এটা কোনো সাধারণ হুমকি নয়—এটা একটা খেলা। একটা মারাত্মক খেলা।


৩. ধোঁয়ার মতো ছায়া
পরের দিন থেকেই তার চারপাশে ঘটতে থাকে অদ্ভুত ঘটনা। ফোনে অচেনা নাম্বার থেকে শুধু নিঃশব্দ কল। রাস্তায় মনে হয় কেউ অনুসরণ করছে। এমনকি তার ল্যাপটপে হ্যাক হওয়া এক ভিডিও—সেখানে দেখা যায়, সে নিজেই রাতের অন্ধকারে একটা মৃতদেহ টানছে।

কিন্তু বাস্তবে তো এমন কিছু মনে নেই তার!
তাহলে কি এটা কারো বানানো? নাকি সে নিজেই ভুলে গেছে নিজের অন্য রূপ?


৪. মুখোশের নিচে মুখোশ
মিয়া খুঁজতে থাকে সেই ‘কোড ৭১’-এর মানে। খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে এক পুরনো ঘটনার কথা—১৯৯৫ সালে তার বাবার রহস্যময় মৃত্যু, যার তদন্ত কখনোই ঠিকভাবে হয়নি। ফাইল গায়েব, সিসিটিভি ফাঁকা, প্রত্যক্ষদর্শীরা হারিয়ে গেছে।

একজন প্রাক্তন গোয়েন্দার সাথে যোগাযোগ করে সে। আর তখনই মিয়া জানতে পারে—তার জীবনটা কখনোই স্বাভাবিক ছিলো না। সে একটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ, যেটা শুরু হয়েছিলো তার জন্মের আগে থেকেই।


৫. শেষ রাতের শ্বাসরুদ্ধ খেলা
সব সূত্র একসাথে জোড়া লাগায় মিয়া। সে মুখোমুখি হয় সত্যের—একটি সংগঠন যাদের উদ্দেশ্য: "মৃত অতীতকে জাগানো"। তারা চায়, মিয়া তাদের শেষ কুশীলব হোক।

শেষ দৃশ্যে, মিয়া দাঁড়িয়ে থাকে সেই লোকটির সামনে যে সবকিছুর পেছনে ছিলো।

সে জিজ্ঞেস করে:
“তুমি কী চাও?”
লোকটি হাসে, চোখে বিদ্রূপ—
“আমরা শুধু চাই, তুমি আর ভুলে না যাও… তুমি কে!”


শেষ পংক্তি:
অতীত যদি ঘুমিয়েও যায়, সে স্বপ্নে ফিরে আসবেই—আর মিয়া শাহ জানে, এবার সে ঘুমাবে না।


(চলবে...)

লেখকের আরও সংগ্রহ

Scroll to Top